আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়বদ্ধতা চায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অন্যদিকে বাংলাদেশ চায় বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা। সোমবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক শেষে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, র‌্যাব কখনও কখনও মাত্রাতিরিক্ত করেছে। তবে আমাদের নিজস্ব সিস্টেম আছে এবং অনেকের শাস্তি হয়েছে, এমনকি মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এখানে দায়বদ্ধতা আছে। আপনাদেরই একজন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেছিলেন—র‌্যাব হচ্ছে বাংলাদেশের এফবিআই। আপনাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে র‌্যাবে লোকজন কাজ করতে আগ্রহ হারাবে। এজন্য আমি খুব খুশি হব যদি আপনার পুনর্বিবেচনা করেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, এর জবাবে ব্লিনকেন জানিয়েছেন—এর একটি প্রসেস আছে এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি হবে। কিন্তু আমরা দায়বদ্ধতা চাই। এ ব্যাপারে আমরা খুব সোচ্চার।

চার মাসের খতিয়ান

গত ডিসেম্বরে র‌্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরে কেউ আইন-বহির্ভূতভাবে মারা যায়নি। অন্যদিকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। গত চার মাসে কেউ মারা যায় নাই। আমি উনাকে (ব্লিনকেন) জানালাম—ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গত চার মাসে ট্র্যাক রেকর্ড খুব ভালো। একটা লোকও ডিএসইতে অ্যারেস্ট হয়নি। ব্লিনকেন উত্তরে বললেন, এটা খুব ভালো। আমরা এক একসঙ্গে কাজ করবো।

কবে নাগাদ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িত কমিটির সদস্যদেরকে সন্তুষ্ট করতে হবে। এর জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। এটি সুইচের মতো না যে অন বা অফ করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

বাণিজ্য

বাংলাদেশে ঔষধ, ইনফরমেশন টেকনোলজিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবকাঠামো খাতে তেমনভাবে বিনিয়োগ করেনি। আমি উনাদের অনুরোধ করেছি এখানে যুক্ত হওয়ার জন্য।

শ্রম অধিকার খাতে উন্নতি দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ নিয়ে কাজ করতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আইএলও’র সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছি। এর জবাবে ব্লিনকেন বলেছেন, আইএলও’র সঙ্গে কাজ করলেই সেটিকে আমরা মোটামুটিভাবে মানদণ্ড হিসেবে মেনে নেই।